পৃষ্ঠাসমূহ

Friday, March 2, 2018

জেনে নিন দিনাজপুর জেলার জানা অজানা নানা তথ্য ও ইতিহাস || Dinajpur Bangla Documentary

জেনে নিন দিনাজপুর জেলার জানা অজানা নানা তথ্য ও ইতিহাস || Dinajpur Bangla Documentary দিনাজপুর জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। দিনাজপুর অঞ্চল ভূতাত্ত্বিকভাবে ইন্ডিয়ান প্লেটের অংশ যা আদি জুরাসিক যুগে সৃষ্টি হওয়া গন্ডোয়ানাল্যান্ডের অংশ ছিল। এজন্য দিনাজপুর এলাকাকে গন্ডোয়ানাল্যান্ড বলা হত। দিনাজপুর জেলার মোট আয়তন ৩৪৩৭.৯৮ বর্গ কিলোমিটার। দিনাজপুর জেলার উত্তরে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও নীলফামারী জেলা, দক্ষিণে জয়পুরহাট জেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, পূর্বে রংপুর ও নীলফামারী জেলা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যর পশ্চিম দিনাজপুর (উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাদ্বয়) অবস্থিত । দিনাজপুর জেলার বার্ষিক সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ৩৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বার্ষিক বৃষ্টিপাত ২৫৩৬ মিলিমিটার। প্রধান নদীসমূহ পূনর্ভবা, আত্রাই। দিনাজপুর জেলার উপজেলা গুলি হল:- ১। বিরামপুর উপজেলা ২। বীরগঞ্জ উপজেলা ৩। বোচাগঞ্জ উপজেলা ৪। ফুলবাড়ী উপজেলা ৫। চিরিরবন্দর উপজেলা ৬। ঘোড়াঘাট উপজেলা ৭। হাকিমপুর উপজেলা ৮। কাহারোল উপজেলা ৯। খানসামা উপজেলা ১০। দিনাজপুর সদর উপজেলা ১১। নবাবগঞ্জ উপজেলা ১২। পার্বতীপুর উপজেলা ১৩। বিরল উপজেলা জনশ্রুতি আছে জনৈক দিনাজ অথবা দিনারাজ দিনাজপুর রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। তার নামানুসারেই রাজবাড়ীতে অবস্থিত মৌজার নাম হয় দিনাজপুর। পরবর্তীতে ব্রিটিশ শাসকরা ঘোড়াঘাট সরকার বাতিল করে নতুন জেলা গঠন করে এবং রাজার সম্মানে জেলার নামকরণ করে দিনাজপুর। ১৭৬৫ সালে দেওয়ানি গ্রহণের ফলে দিনাজপুর জেলা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিয়ন্ত্রণভুক্ত হয়। সেই সময় লক্ষনৌতী, বাজিন্নাতাবাদ, তেজপুর, পানজারা, ঘোড়াঘাট, বারবকাবাদ ও বাজুহা, এই ছয়টি সরকারের অংশ নিয়ে দিনাজপুর জেলা গঠিত হয়। ১৭৮৬ সালে দিনাজপুর জেলা হিসেবে ঘোষিত হয়। দিনাজপুর সদরে জেলা সদর গঠিত হয়। দিনাজপুর একসময়ে একটি নামকরা জনপদ পুন্দ্রবর্ধনের অংশ ছিল। লাখনাউটির রাজধানি দেভকটের অবস্থান ছিল এর ১১ মাইল দক্ষিণে। ততকালীন ইংরেজ শাসকদের “The British Administrative Control” এখানে ১৭৮৬ সনে গঠিত হয়। ১৯৪৭ সালে বঙ্গভঙ্গের সময়ে দিনাজপুরের একটি বড় অংশপশ্চিমবঙ্গে চলে যায় এবং তার নাম হয় পশ্চিম দিনাজপুর জেলা। দিনাজপুর জেলার জনগনেরা তেভাগা আন্দোলনে অংশগ্রহন করে এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। দিনাজপুর একটি কৃষি সমৃদ্ধ জেলা। সেজন্য দিনাজপুর জেলাতে যেসব শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে তার অধিকাংশই কৃষি ভিত্তিক। দিনাজপুর জেলায় বড় শিল্প ও কারাখানার মধ্যে সেতাবগঞ্জ সুগার মিলস লিঃ এবং দিনাজপুর টেক্সটাইল মিলস লিঃ অন্যতম। কৃষিই দিনাজপুর জেলার অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের চালিকা শক্তি। কাটারী ভোগ, কালাজিরা চাল, চিড়া, আম ও লিচুর জন্য এই জেলা বিশেষভাবে পরিচিত। এছাড়াও ধানচাষ নির্ভর এই জেলা দেশের সিংহভাগ চালের যোগান দেয়। এজন্য দিনাজপুরকে দেশের শষ্য ভান্ডার বলা হয়। ধান এই জেলার প্রধান কৃষি পণ্য হওয়ায় এই জেলায় শিল্প ও কলকারখানা বলতে প্রায় ২০০০ এর মত চাল কল আছে যার মধ্যে প্রায় ১০০ টির মত অটোমেটিক ও সেমি-অটোমেটিক চাল কল, বাকী সবগুলো চাতাল নির্ভর (হাস্কিং) চাল কল।

No comments:

Post a Comment

বাংলাদেশী সাইকো ও সিরিয়াল কিলারদের গল্প পর্ব ১ || 2018

বাংলাদেশী সাইকো ও সিরিয়াল কিলারদের গল্প পর্ব ১ || 2018 বাংলাদেশী সাইকো ও সিরিয়াল কিলারদের গল্প পর্ব ১ || 2018 সময়টা ১৯৭৫। মানুষটার নাম খ...